কলকাতা: চতুর্থ দফার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে শীতলকুচিতে। প্রথমেই সেখানে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে প্রথমবারের জন্য ভোট দিতে আসা এক যুবকের। তিনি কোন দলের সমর্থক তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন তৃণমূল কর্মীর এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শাসক শিবির। তবে সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, মৃত্যু কি আটকানো যেতে পারত না?
একাধিক জায়গায় জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে এসেছেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির নির্দেশমতো কাজ করছে এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। দরকার পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে রাখার নিদান দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়ে প্রতিবাদ দেখায় বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনও পদক্ষেপ নেয় তাঁর বিরুদ্ধে। তার আগে অবশ্য প্রথম দফা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর ক্ষমতা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছিল পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে প্রয়োজন অনুযায়ী গুলি চালাতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপরে আজ একটি দফার ভোটে এতগুলো মৃত্যুর খবর। বজ্র আঁটুনি, ফস্কা গেরো তাহলে কি বাস্তব রূপ পেল? অতিরিক্ত কড়াকড়ি করতে গিয়ে তাহলে কি প্রাণহানি হওয়ার মত ঘটনা ঘটলো? অবশ্যই এই নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। কারণ কোনোভাবেই কোনো রকম মৃত্যু কাম্য নয়, তা সে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক হন কিংবা বিজেপি, অথবা সাধারণ ভোটার।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন দোলা সেন, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন দোলা৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের সীমা লঙ্ঘন করছে৷ ভোটারদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে৷ অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’বার শোকজ করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় মানুষ খুন করছে৷ এর জবাব কে দেবে? বাংলার মানুষ নির্বাচন কমিশনকে শোকজ করছে৷ ভোট চলাকালীন আইন শৃঙ্খলার এই পরিণতির জন্য সাধারণ মানুষ হিসাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাব চাই৷ এই শোকজের জবাব দিক কমিশন৷