কলকাতা: লটারি প্রতারণা-কাণ্ডে গোটা অপারেশনই চলছে পাকিস্তান থেকে। দাউদের সঙ্গী আসরাফই তা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ রাজ্য থেকে তার মাধ্যমেই টাকা দুবাই হয়ে পাকিস্তানে ডি কোম্পানির কাছে পৌঁছচ্ছে। সেই সূত্রে তদন্তকারী অফিসাররা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত, প্রতারণা ব্যবসা আসলে দাউদেরই ‘ব্রেন চাইল্ড’। তার নির্দেশ মতোই দেশজুড়ে এই কারবার চলছে।
মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে আইএসআই এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগাযোগের প্রমাণ আগেই মিলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দাউদের মাধ্যমে এই টাকা জেহাদি গোষ্ঠীর কাছে গিয়েছে কি না, তা জানাই গোয়েন্দাদের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ। এদিকে, এই ঘটনায় পার্ক সার্কাস থেকে ফারহান শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তার সঙ্গে পাকস্তানি এজেন্টদের যোগাযোগের তথ্য মিলেছে।
লটারিকাণ্ডের তদন্তে পাক যোগের প্রমাণ নভেম্বর মাসেই পেয়েছিল গোলাবাড়ি থানা। উঠে এসেছিল বেশ কয়েকজন পাক নাগরিকের নাম। গোলাবাড়ি থানার আইসি তথাগত পাণ্ডের কাছ থেকে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন সিআইডির আধিকারিকরা। তা থেকেই জানা যায়, গত কয়েকমাসে পাকিস্তানে হাজারখানেকের বেশি ফোন গিয়েছে। তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারেন, এই নেটওয়ার্কে জড়িয়ে রয়েছে খোদ দাউদ ইব্রাহিম।