কালীঘাট: পুজোর আগে অন্ধকারকে দুর করে মায়ের আগমণী সবখানে ছড়িয়ে দেওয়া উদ্যোগ। সমাজে ব্রাত্যজনেদের উৎসবের মূল স্রোতে আনার প্রচেষ্টা। প্রচেষ্টায় সামিল এই সমাজের শিল্পী থেকে নামী ব্যক্তিত্বরা। কালীঘাট নিউ লাইট এলাকায় যৌনকর্মীদের পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক বিলি করলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী তথা প্রশিক্ষক ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়, নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়।
হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। অতিমারী করোনার অন্ধকার বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দের রোশনাইকে কিছুটা ম্লান করে দিলেও পুরোপুরি অমানিশায় রূপান্তরিত করতে পারেনি। অতিমারীর মধ্যে চলছে বিভিন্ন ধরণের সমাজসেবার কাজ। কারণ পুজো সবার। সারাবছর ঘুপচি অন্ধকার ঘরে কাটানো মানুষগুলিকে উৎসবের আনন্দে সামিল করতে উদ্যোগী হলেন সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা তথা বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়।
কালীঘাট নিউ লাইট এলাকায় যৌনকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় পোশাক, খাবার, মাস্ক, স্যানিটাইজার। উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়, ঊর্মি বসু, ঊর্মি রায়, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ, অভিনেতা সোহম মজুমদার, অভিনেত্রী তথা মিসেস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল রিচা শর্মাসহ শিল্পজগতের বিশিষ্টরা। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, এরকম একটি জায়গায় আসতে পেরে তার খুব ভাল লেগেছে। সবার পুজো ভাল কাটুক, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সৃষ্টি ডান্স অ্যাকাডেমির তরফে ইন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ২০২০ সালটা কোভিড ১৯ এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে অন্যরকম পুজো ২০২০, সমাজসেবা মূলক কাজ খুব সুন্দরভাবে সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায় বলেন, এখানে আলাদা করে সময় দেওয়ার কিছু নেই, এটা সবার দায়িত্ব। ওদের বাচ্চারা, ওরা যেন সুস্থ জীবন পায়, সেই শুভকামনা জানাই।
যাদের ঘরের দরজার মাটি ছাড়া মায়ের আরাধনা অসম্পূর্ণ তাদেরকেই সমাজ ব্রাত্য করে রেখেছে যুগের পর যুগ। সমাজের মূলস্রোতে এই মানুষগুলিকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে এই সমাজের উন্নতি অসম্ভব। যে পাঁকে এই মানুষগুলি থাকেন তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেই পাঁকে না নামতে পারে তার দায়িত্ব সমাজের সর্বস্তরের মানুষের। তাই উৎসবের আনন্দে ওদেরকেও সামিল করতে হবে। ফলে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।