নয়াদিল্লি: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পায়ের তলার জমি শক্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি তাই কেন্দ্রও এ ব্যাপারে নজর দিয়েছে। বাঙালি আবেগকে উসকে দিতে কোনও সুযোগই ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি একটি ভারত ও উজবেকিস্তান ভার্চুয়াল সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যাকড্রপে রেখেছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি। আন্তর্জাতিক কোনও বৈঠকে ব্যাকড্রপে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি ব্যবহার যে বাঙালি আবেগ উসকে দেওয়ার জন্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অনেকের মতে বিশ্বের কাছে ভারতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতেই প্রধানমন্ত্রী এমন ব্যাকড্রপ ব্যবহার করেছেন।
ছবিটি টুইট করে বঙ্গ বিজেপি এই বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন। টুইটে তারা লিখেছে, “ভারত-উজবেকিস্তান সামিটের ব্যাকড্রপে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাই। এটি সমগ্র বিশ্বের বাংলা ও বাঙালির কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”
ভোটের আগে তৃণমূলকে সব দিক থেকে চাপে ফেলতে তৎপর বিজেপি। এর মধ্যে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার বিষয়টি ইস্যু হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ ওই রিপোর্টে যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানের উর্ধে নয়৷ তাঁরও সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা রয়েছে৷ ওঁকে সংবিধান মেনে চলতেই হবে৷
তিনি বলেন, বারবার সতর্ক করার পরেও রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে৷ গততকাল ডায়মন্ড হারবারের যে ঘটনা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক৷ সংবিধান অবমাননা করা হয়েছে৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মাথা নত হয়ে গিয়েছে৷ গণতন্ত্র সকলের নিজের মতামত ব্যক্ত করার অধিকার রয়েছে৷ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ডায়মন্ডহারবার এবং শিলিগুড়িতে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে৷ গতকাল ছিল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস৷ এদিন রাজ্যে কী পরিস্থিতি হল! এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বৈঠকের সময় ব্যাকড্রপে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি ব্যবহার করে যে বিজেপি আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চাইছে তা মনে করছেন অনেকে।