কলকাতা: জনপ্রিয় টিভি শোতে ভূত নিয়ে চর্চার প্রতিবাদে সরব হল যুক্তিবাদী সংগঠনগুলি৷ প্রশ্ন উঠছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন জনপ্রিয় খেলোয়াড় কি করে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন? দীর্ঘদিন ধরে নানান যন্ত্রপাতি দিয়ে অর্থাৎ বিজ্ঞাননির্ভর পথে ভূতের প্রমাণ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন এক যুবতী৷ বাংলার টেলিভিশনে অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে এই দাবিদাওয়া প্রচার হওয়ায় কারণে হাইকোর্টে মামলা যুক্তিবাদী সংগঠনগুলি৷
জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানে ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাওয়ার অভিযোগে আইনি প্যাঁচে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা৷ বৈজ্ঞানিককে ব্যবহার করে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, এই মর্মে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চ৷ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ৫১-(এ) এইচ ধারায় লংঘন করা হয়েছে দাদাগিরির ওই প্রতিযোগি ৫১ ধারা অনুযায়ী দেশের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা যুক্তিবোধ লঙ্ঘন করেছেন৷
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ব্রায়ান কক্সের মতে অজানা কোনো শক্তির উপস্থিতি থাকলে তাও আর কিছু না হোক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সার্ন এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এ ধরা পড়ত৷লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার হল বিশ্বের বৃহত্তম আণবিক বিশ্লেষক৷ চৌম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই যন্ত্র মহাজগতের মৌলিক বস্তুসমূহকে বিশ্লেষণ করে৷ এর মাধ্যমে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমাণ জগতের প্রতিটি এলিমেন্টকেই জানা বা বোঝা যায়৷ লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যে কোনও এনার্জি বা শক্তিকে বিশ্লেষণ করতে সমর্থ৷
এমন আরও বহু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ভূতের অস্তিত্বকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছে ৷ তবে ভূতে যাদের বিশ্বাস, তারা কখনোই এসব বৈজ্ঞানিক যুক্তির ধার ধারে না৷ তারাই তাদের মনের মধ্যে ভূতের লালন-পালন করেন৷ তাই তাদের এই কল্পনার গল্পগাঁথা টেলিভিশনের পর্দায় তুলে ধরে টিআরপি বাড়ানোর কৌশলকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজ্ঞান সংগঠনগুলি৷ ভবিষ্যতে এই ধরণের অনুষ্ঠান টেলিভিশনে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আনার দাবিও উঠেছে৷