কলকাতা: গত বছরের যেন ‘রিপিট টেলিকাস্ট’। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে গত বছর পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আমফান ঘূর্ণিঝড়। সেই তাণ্ডবের স্মৃতি এখনো রাজ্যবাসীর মনে স্পষ্ট ভাবে রয়েছে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের এক বছর পূর্তিতে আবার এক ঘূর্ণিঝড় আসার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে! এবারেও সেই ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২২ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে ‘যশ’ ঘূর্ণিঝড়। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি।
গত দু’দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে নতুন এক ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। গত তিন-চার দিন ধরে দেশের পশ্চিমে মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাটের উপকূলে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে দেখে শিউরে উঠেছে দেশের মানুষ। এবার দেশের পূর্ব উপকূলে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত৷ আশঙ্কা, নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণাবর্তের নিচে পারে৷ আগামী শনিবার ২৩ মে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়৷ আগামী সপ্তাহের বুধবার নাগাদ ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ প্রভাব পড়তে পারে দীঘা-শঙ্করপুরেও। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আন্দামান ও নিকোবরে নির্ধারিত সময়ের ২-১ দিন আগেই ঢুকে যেতে পারে বর্ষা৷ তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’কে নিয়ে অহেতু আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷
তবে আয়লার মতো এই ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশে ঘুরে গেলে কেরলের আগেই বাংলায় বর্ষা ঢুকে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত, কেরলে প্রতি বছর বর্ষা প্রবেশ করে ৩০-৩১ মে। তবে এবার তার আগেই বর্ষা দেখা দিতে পারে বাংলায়। এদিকে, ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’-এর তান্ডবলীলায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। দুই রাজ্য মিলিয়ে ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ জনের। হাওয়ার তোড়ে উত্তাল আরব সাগর।