কলকাতা: দেশের পশ্চিমপ্রান্ত যখন ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’-এর রোষানলে কাঁপছে, পূর্বপ্রান্ত তখন প্রথম জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে পুড়ছে। একদিকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’-এর তান্ডবলীলায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। দুই রাজ্য মিলিয়ে ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ জনের। হাওয়ার তোড়ে উত্তাল আরব সাগর। সেখানেই দিনের পর দিন পারদ চড়ছে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে। সপ্তাহান্তে ৪০ ডিগ্রিও ছুঁয়ে ফেলতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। কিন্তু এর মধ্যেই ফের বঙ্গোপসাগরে নতুন এক ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পূর্বাভাস খুব একটা স্পষ্ট না হলেও হাওয়া অফিসের তরফে বঙ্গোপসাগরে নতুন এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘যশ’। হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমফানের মতোই শক্তিশালী হতে পারে যশ। ওমানের দেওয়া নাম নিয়ে পূর্ণশক্তি সঞ্চয় করে ২৪-২৫ মে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘যশ’। তবে এখনও পর্যন্ত ‘যশ’-এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলে যাচ্ছে না। আমফানের মতো পশ্চিমবঙ্গের বুক চিরে বেরিয়ে যেতে পারে, আবার আয়লার মতো সুন্দরবন উপকূল হয়ে বাংলাদেশেও চলে যেতে পারে। যশ-এর গতিপ্রকৃতি ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আগামী ৪৮ ঘন্টার আগে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা।
তবে আয়লার মতো সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশে ঘুরে গেলে কেরলের আগেই বাংলায় বর্ষা ঢুকে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত, কেরলে প্রতি বছর বর্ষা প্রবেশ করে ৩০-৩১ মে। তবে এবার তার আগেই বর্ষা দেখা দিতে পারে বাংলায়। কিন্তু তার আগে চলতি সপ্তাহে এইভাবেই চূড়ান্ত দাবদাহ সহ্য করতে হবে বাংলাকে। প্রতিদিনই বাড়বে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহান্তে শনিবার ও রবিবার এই সংখ্যাটা ৪০ ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।