কলকাতা: বিগত কয়েক বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। লাগাতার বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক জেলা এবং উপকূলবর্তী এলাকা। দেশের অন্যান্য রাজ্যেও একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়লেও পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব উপকূলের রাজ্যগুলি যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেটা স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দাবি করা হচ্ছে, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র উপকূলের থেকে বেশি বিপদের মুখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু উপকূল।
রাজ্যসভায় এই ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, সাগর এবং মহাসাগর গুলিতে আগের থেকে বেশি ঘন ঘন সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে এবং তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব উপকূলের এলাকাগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি জানান, ১৮৯১ থেকে ২০০০ সালের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। আরো আশ্চর্যজনক বিষয় হল, দেখা গিয়েছে আরব সাগর থেকে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট প্রতিটি পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের তিনটির ল্যান্ডফল হয় ভারতের পূর্ব উপকূলে। যার ফলে এই প্রদেশ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম প্রদেশের তুলনায়। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে শেষ কয়েক বছরে যে ক’টি ঘূর্ণিঝড় এসেছে তার বেশিরভাগ হয় ওড়িশায় চলে গিয়েছে আর না হলে বাংলাদেশ। আমফান ঘূর্ণিঝড় শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বিগত বছরে সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল। তার আগে আয়লা ও ফণীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা।
এদিকে, একের পর এক নিম্নচাপ, বৃষ্টিতে হারিয়েছে এই বছরের হেমন্তের আমেজ৷ নিম্নচাপের ধাক্কায় বারবার বাধা পেয়েছে শীত৷ হেমন্তের শেষে উত্তুরে হাওয়ার দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গে৷ বরং বৃষ্টিভেজা স্যাঁচস্যাঁতে আবহাওয়ায় বিরক্ত হয়েছে বঙ্গবাসী৷ তবে সমস্ত বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে এবার হয়তো ঢুকে পড়বে শীত৷ এমনই আশা জাগিয়েছে হাওয়া অফিস।