কলকাতা: ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’৷ পশ্চিমবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও রকম কোনও সম্ভাবনা নেই৷ আতঙ্কের কোনও কারণ নেই৷ এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷
আরও পড়ুন- কটা আসন পেতে পারে তৃণমূল? জানান দিচ্ছে এই সমীক্ষা
বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়৷ সেটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। রবিবার দুপুরের পর পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে ‘জওয়াদ৷ তবে পুরী পৌঁছনোর পর সেটি শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ কিন্তু কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গভীর নিম্নচাপ হয়েই বঙ্গে ঢুকবে ‘জওয়াদ’৷ তবে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে৷ বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার৷ ৫৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে৷ ৫ তারিখ সন্ধের পর থেকে হাওয়ার গতিবেগও কমতে থাকবে৷
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘণীভূত হওয়ার শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে আকাশ থাকবে মেঘলা। হলকা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে৷ তবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস৷ এই মুহূর্তে পুরী থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে জওয়াদ৷ পারাদ্বীর থেকে জওয়াদের দূরত্ব ৪৭০ কিলোমিটার৷
৪ তারিখ থেকে ৬ তারিথ সকাল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে৷ মূলত পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার কিছু জায়গায় আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ আগামীকাল দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব বর্ধমানে দুই এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে৷ ৬ তারিখ বাংলাদেশ লাগোয়া, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বৃষ্টি হবে৷ মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷