cyclone
কলকাতা: অষ্টমীর পর থেকে আবহাওয়ায় যে পরিবর্তন এসেছিল তার প্রভাব সরাসরি পড়েছিল নবমীর দিন। কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার বিকেলের পর তেমন ভাবে আর বৃষ্টি হয়নি। তাই নবমীর নিশিতে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল মানুষের ভিড়। রাস্তায় জনস্রোত। কিন্তু দশমীর সকাল থেকে দাপটে শুরু হয় বৃষ্টি। হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, ৩ দিন এই দুর্যোগ চলতে পারে অর্থাৎ একাদশী পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিন্তু আপাতত জানা গেল, নাগাড়ে বৃষ্টির পরিস্থিতি কেটে গিয়েছে। সারাদিনে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় হামুন। তবে তার আগে ব্যাপক শক্তিক্ষয় হবে ঝড়টির। ফলত পশ্চিমবঙ্গের কোথাও আর নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আর ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সম্পূর্ণরূপে কাটতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে। আজ রাত থেকেই দুর্যোগের আবহ সম্পূর্ণ কেটে যাবে বলেই আভাস দেওয়া হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও উত্তরপূর্বের ৩ রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মণিপুরে ব্যাপক বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আপাতত দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে এর অবস্থান ২১০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম৷ এর দাপটে মঙ্গলবার দশমীর পাশাপাশি একাদশীর দিনও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷