মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! করোনা, আমপানের জোড়াফলা কীভাবে রুখবে বাংলা?

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! করোনা, আমপানের জোড়াফলা কীভাবে রুখবে বাংলা?

কলকাতা: করোনার ভয়াবহতার প্রবল আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭২ এবং আরও ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। দফায় দফায় লকডাউন জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সোমবার ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক করে তোলার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গোঁদের ওপর বিষফোড়ার মতো হাজির ঘূর্ণিঝড় আমপান। দীঘা উপকূল থেকে এই মুহূর্তে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই সুপার সাইক্লোন। বুধবার সকালে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে তীব্র বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তা।

সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক চলালালীন আক্ষেপের সুরে মমতা জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগে এল বুলবুল, এবার আমপান। তার ওপর এই অতিমারির পরিস্থিতি। এমনিতেই ভিন রাজ্য থেকে বাংলার শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে রেলের খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি উক্তি করেছিলেন, ‘লজ্জা করে না, শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নিতে?’ পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর খরচের সঙ্গে এবার যুক্ত হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার বিপুল ব্যয়ভার। এর আগে বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের জন্য কেন্দ্র থেকে ত্রাণের অর্থ ঠিকমতো পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আমপানের ফলে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই বকখালি এলাকা থেকে ৩৫ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীঘা থেকেও সরানো হয়েছে ১৬ হাজার মানুষকে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে তা সামলানোর দায়িত্ব সেই রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আরও বেশি করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে রাজ্য। যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানেও সতর্ক থাকতে হচ্ছে করোনার ভয়ে। কিন্তু বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এখন করোনা ও আমপান, জোড়াফলায় বিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *