কলকাতা: এখনও সরাসরি স্থলভাগের প্রবেশ করেনি ঘূর্ণিঝড় আমপান৷ কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ঢোকার আগেই ঝড়ো হাওয়ায় জেরবার গোটা উপকূলবর্তী জেলা৷ ইতিমধ্যেই সুন্দরবন লাগোয়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক হাওয়ার প্রভাবে কাঁচা ঘর, গাছ উপড়ে পড়তে শুরু করেছে৷
টিনের চাল উড়িয়ে গিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জ, সাগরদিঘী, কাকদ্বীপ এলাকায়৷ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে বহু এলাকা৷ ইতিমধ্যেই সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে৷ সমুদ্রের লবণাক্ত জল নিচু এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে৷ তাতে বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি বয়েছে৷ দুই ২৪ পরগনায়, মেদিনীপুরের শুরু হয়ে জলোচ্ছ্বাস৷ বোল্ডার গড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়৷ যা পরিস্থিতি তাতে এখনই যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে মূল ঝড়ে কী হবে? আশঙ্কা চড়ছে৷
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, চার থেকে পাঁচ মিটার পর্যন্ত উঁচু হবে সমুদ্রের ঢেউ৷ যার জেরে প্লাবিত হতে পারে বাংলার নিন্ম উপকূলবর্তী এলাকাগুলি৷ ভয়ঙ্কর হতে চলেছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়৷ ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ বাংলার ৭টি জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র। এমনকী নদীগুলোতেও জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মাঝখান দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।