কলকাতা: দেশ তথা রাজ্যের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ভোট আবহে কার্যত বেনজির সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। শেষ তিন দফার প্রচারে আর আর বড় জমায়েত করবে না তারা। করা হবে না বড় মিছিলও। ছোট পথসভা ও নেটমাধ্যমেই প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের। সংক্রমণ রোখার চেষ্টায় কোনও রাজনৈতিক দলের এহেন পদক্ষেপ নিয়ে নেটিজেনরা কুর্নিশ জানাচ্ছে। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে বাম বাহিনীর এই পদক্ষেপ যে সত্যিই দায়িত্বশীল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, চার দফার ভোট হয়ে গিয়েছে, পঞ্চম দফার প্রচার শেষ। তাই পরবর্তী তিন দফায় নির্বাচনের প্রচারে বড়সড় ভিড় করা থেকে বিরত থাকা হবে। বড় প্রচারে না গিয়ে মানুষকে সচেতন করার ওপর জোর দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো হবে, বাস্তব পরিস্থিতি মেনে সবাইকে সচেতন করা করবে দল। তিনি আরও জানান, শেষ দফার ভোটে বামফ্রন্টের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন, সে ক্ষেত্রে যাঁরা যাবেন তাঁদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যের নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৫,৮৯২ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২,২৯৭ জন। যদিও দিনপ্রতি সংক্রমণ নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর। পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কলকাতা। সেখানে একদিনে সংক্রামিতর সংখ্যা ১,৬০১ জন! এদিকে সুস্থতার হার আগের থেকে কিঞ্চিত কমে হয়েছে ৯৩.১৬ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩২,৬২১ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩০ হাজার ১১৬ জন এবং ১৪ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৪৫৮ জনের। কলকাতার পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনার। সেখানে এক দিনে সংক্রামিত ১,২৭৭ জন! তার পরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৩৭। হাওড়ায় একদিনে আক্রান্ত ৩৩০ জন।