সরসুনা কলেজের আর্থিক তছরূপে অধ্যক্ষকে নিশানা, দোষীদের শাস্তির দাবিতে 'নাগরিক কনভেনশন'

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় আপাতত জেলে। তাঁর নামে অভিযোগের শেষ নেই। এবার পার্থরই বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত সরসুনা কলেজে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের দুই অশিক্ষক কর্মী অমিত মুখোপাধ্যায় এবং মৌ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ১৮ লক্ষ টাকা চুরি করার অভিযোগ এসেছে। এই ইস্যুতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছ সিপিএম। ২১ মে, রবিবার এই পরিপ্রেক্ষিতেই তারা করল 'নাগরিক কনভেনশন'। লাল বাহিনী সরাসরি নিশানা করেছে কলেজের অধ্যক্ষকে।
'শিক্ষা বাঁচাও সরসুনা কলেজ বাঁচাও' এই স্লোগান তুলে ঘটনার বিরোধিতার 'নাগরিক কনভেনশন'-এর আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রতিবাদ সভার সভাপতি ছিলেন ১২৭ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা সিপিএম নেতা নিহার ভক্ত। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস এবং এসএফআই রাজ্য কমিটির সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। এই সভা মঞ্চ থেকে নিহার ভক্ত জানিয়েছেন, কলেজে ঠিক কত টাকা তছরূপ হয়েছে সে বিষয়ে জানতে গেলে অধ্যক্ষ দাবি করেন যে এটি কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই তা বলা যাবে না। কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে যদি অধ্যক্ষ আসল ব্যাপার সামনে না আনেন তাহলে তার দায় তাঁকেই বহন করতে হবে।
কলেজের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সদস্য নিহার ভক্তের আরও দাবি, ২০১৮-২০২১ এই তিন বছরে কলেজের আয়-ব্যয়ে গরমিল আছে। কলেজের টাকা মানে জনগণের টাকা। তাই যারা অভিযুক্ত তাদের শাস্তি দিতেই হবে এই দাবি তুলে তাঁর কথা, অধ্যক্ষ যদি প্রকৃত বিষয়টি সামনে আনতে না চান তাহলে আগামী দিনে জনগণকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, সরসুনা কলেজ এবং সরসুনা ল কলেজে বিরাট অনিয়ম এবং অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে সিপিএম।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সরসুনা কলেজের আর্থিক তছরূপে দুই অভিযুক্তের মধ্যে অমিত মুখোপাধ্যায় ২০১৮ সালে এলাকার যুব তৃণমূল ব্লক সভাপতি ছিলেন। এরপর কলেজের অ্যাকাউন্টসের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যেই কলেজে চাকরি পান অমিত। কানাঘুষো যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকেই অমিত এবং মৌ ধীরে ধীরে কলেজের টাকা আত্মসাৎ করতে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, ১৮ লক্ষ টাকা নয়, আরও বেশি টাকা চুরি করা হয়েছে কলেজ থেকে।