কলকাতা: বাংলার বুকে ক্ষমতা ক্ষয় হয়েছিল আগেই, তবে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জনাদেশ। ৩৪ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা দলের বিধানসভার স্কোর ‘শূন্য’ হওয়ার পর নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড।
যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে তাই তারুন্যেই ভরসা রাখছে বাম নেতৃত্ব। রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিরোধী পরিসরে পাকা-পোক্ত জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি, এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে তরুণদের উপরেই জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সিপিএম।
সূত্রের খবর, এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেতে চলেছেন সৃজন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাস, সায়নদীপ মিত্র, মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের মতো তরুণ তুর্কিরা। একুশের নির্বাচনের আগে থেকেই এই দাবি উঠেছিল দলের অন্দরে। সেই মতো নির্বাচনে ঐশী, মীনাক্ষি, সৃজনদের প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল আলিমুদ্দিন। কিন্তু, ফল মেলেনি। তবে লকডাউনে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ থেকে শুরু করে ‘রেড ভলান্টিয়ার’রা- সব জায়গায় যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে তাতে তরুণ বাহিনীর ইতিবাচক ছাপ পড়েছে জনমানসে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে বামেরা।
দলে কম বয়সীদের জায়গা দেওয়ার পক্ষে আগেই দাবি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা গৌতম দেব। এবার শোনা যাচ্ছে, রাজ্য কমিটির বৈঠকেও একই প্রশ্ন রাখেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, ‘হাল ধরুক সৃজন, সায়নদীপরা’। সূত্রের খবর, গৌতম দেবের প্রস্তাবে সম্মতিও মিলেছে। জানা গেছে, সৃজন ভট্টাচার্য, ময়ূখ বিশ্বাস, সায়নদীপ মিত্র, মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় ও প্রতীকুর রহমানকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বৈঠকে। তাতে সম্মতি দেন গৌতম দেব, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম। যদিও বর্ধমান ও হাওড়া জেলা নেতৃত্বের আপত্তি রয়েছে এই সিদ্ধান্তে। তবে এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। রাজ্য কমিটির প্রস্তাবের ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে আসন্ন পার্টি কংগ্রেস।