চলছে আসন সমঝোতার ভাবনা! আব্বাসের দলের জন্য দরজা খোলা সিপিএমের

চলছে আসন সমঝোতার ভাবনা! আব্বাসের দলের জন্য দরজা খোলা সিপিএমের

c1ac458528213891b32b931939c3d290

কলকাতা: তৃণমূল এবং বিজেপিকে পরা প্রতিযোগিতা দিতে এবং সংখ্যালঘু প্রাধান্যের স্বার্থে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দলের প্রতি করবেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। সম্প্রতি নিজের নতুন দলের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির ছাড়া অন্যান্য যে কোন দলকে জোটের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন আব্বাস। এবার তাদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে রাখলো সিপিএম। লাল নেতা মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, আব্বাস সিদ্দিকীর ফ্রন্টের জন্য দরজা খুলে রেখেছে তাঁদের দল। এমনকি আসন সমঝোতার ব্যাপারে ভাবনাও চলছে।

নিজের দল, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট তৈরি করার পর আব্বাস সিদ্দিকী স্পষ্ট করেছিলেন, যারা যারা ধর্মনিরপেক্ষতার হয়ে লড়াইয়ে শামিল হতে চান তারা তাঁর দলের সঙ্গে জোটে আসতে পারেন। এই প্রেক্ষিতে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, বাম এবং কংগ্রেস জোটে সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকেই আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আব্বাস সিদ্দিকীর ফ্রন্টের জন্য দরজা খুলে রেখেছে তারা। একইসঙ্গে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম জানাচ্ছেন, সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার ভাবনায় ইতিমধ্যেই চালাচ্ছে সিপিএম। এর নিরিখে বলা যায়, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যদি বাম, কংগ্রেস, সিদ্দিকীরা একজোট হয়ে লড়েন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 

ইতিমধ্যে মিমের সুপ্রিমো আসাউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী বৈঠক করেছেন। এমনকি বিরোধী দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করে ফেলেছেন তিনি। এখনো পর্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও একাধিক ক্ষেত্রে আলোচনা চালাচ্ছে তারা এমনটাই খবর সূত্রের। এদিকে নতুন দল গঠন করার পর আব্বাস সিদ্দিকী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, মূলত আদিবাসী এবং তপশিলি-নিম্নবর্গের হিন্দুদের উন্নয়ন ঘটাতে তিনি তার দল গঠন করেছেন। একই সঙ্গে সংবিধান রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের সার্বিকভাবে উন্নয়নের স্বার্থে তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও বিজেপি এবং তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেছেন, এই দুটো দল ছাড়া যে কেউ তার সঙ্গে জোটে আসতে পারে। এদিকে প্রত্যক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, তিনি যেখানেই দাঁড়াবেন সেখানেই হারাবেন। সব মিলিয়ে এখন আব্বাস সিদ্দিকীর দলের ভবিষ্যৎ কোন দিকে তা জানতে গেলে আগামী কয়েক দিনের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে জোট হোক কিংবা না হোক, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা বাংলায় বিজেপি এবং তৃণমূলকে যে জোর টক্কর দিতে পারে তা ইতিমধ্যেই  অনুমান করে ফেলেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *