কলকাতা: ফের গড়বেতার কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়াল গড়বেতার সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের৷ আজ সল্টলেকের ময়ূখ ভবনের এমপি এমএলএ স্পেশাল কোর্টে আসেন সুশান্ত ঘোষ।
আদালত সূত্রের খবর, ২০১১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেনাচাপড়া কঙ্কাল কেসে ডিসচার্জ পিটিশনের হেয়ারিং ছিল৷ সেই কারণে আজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন সিপিএমের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা৷ তবে এদিন হেয়ারিং হয়নি৷ কারণ, সরকারি পক্ষের আইনজীবী এদিন বিচারকের কাছে সময় চেয়ে নেন৷ বিচারক তা মঞ্জুরও করেন৷ ফলে এই মামলার শুনানী হবে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে৷ সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে যে কেস রয়েছে সেই কেসের ডিসচার্জ পিটিশন আছে৷ একবার এই কেসে বেকসুর খালাস পেয়েছি৷ আবার আমাকে এই কেসে যুক্ত করা হয়েছে৷ সেই জন্যই একটা ডিসচার্জের পিটিশন ছিল৷ সেই পিটিশনের আজ হেয়ারিং ছিল।’’
সুশান্ত ঘোষের আইনজীবী রানা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০০১ সালে অজয় আচার্য এবং ছয়জন মানুষ খুন হন৷ এটা অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অজয় আচার্য এর মেয়ে চান্দনা আচার্য একটা মামলা করে৷ সেই মামলা মেদিনীপুর এর ৬ নম্বর এডিজি আদালতে নিস্পত্তিও হয়ে গিয়েছে৷ পুনরায় সেই মামলায় আমার মক্কেলকে অভি়যুক্ত দেখানে হয়েছে৷ স্বভাবতই, যে মামলার বিতার হয়ে গিয়েছে, বেকসুর খালাস ঘোষণার পরও ফের সেই মামলায় কিভাবে অভিযুক্ত করা হয়, তা নিয়েই আমরা আদালতে পিটিশন জমা দিয়েছিলাম৷ সরকারি আইনজীবী সময় চেয়ে নেওয়ায় বিচারক পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন৷’’