এত দ্বিচারিতা কেন করতে হয়? কৃষি আইন বাতিলে মোদীকে প্রশ্ন সিপিএম নেতার

এত দ্বিচারিতা কেন করতে হয়? কৃষি আইন বাতিলে মোদীকে প্রশ্ন সিপিএম নেতার

বাঁকুড়া:  তৃণমূলের ‘কোন হক নেই’ এই আইন বাতিল নিয়ে কিছু বলার। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা করার পর এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক ও সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র।

শুক্রবার দলের বাঁকুড়া জেলা দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০০৩ সালে বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় রাজ্যগুলির কাছে একটি মডেল আইন করে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন।  সেই আইন আমরা বাম সরকার থাকাকালীন গ্রহণ করিনি।  পরে মমতা ব্যানার্জী এই রাজ্যে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে ওই আইন চালু করেন। যে আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা এক বছর আন্দোলন করলেন৷ সেই আইন উনি আগেই রাজ্য বিধানসভায় পাশ করিয়েছেন। ওই আইন আগে বাতিল করুন তারপর এই কৃষক আন্দোলন নিয়ে উনি সাফাই দেবেন। না হলে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করবে না বলে তিনি দাবি করেন। এই সাফল্যের অংশীদার হতে গেলে আগে রাজ্য বিধানসভায় পাশ করা দুই কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।

কৃষি আইন বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপিকেও এক হাত নেন প্রবীণ এই সিপিআইএম নেতা। তিনি বলেন, ‘‘কৃষি আইন পাশের সময় বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল ‘কৃষকদের কল্যাণে এই আইন’। আর আজ জেপিনাড্ডা ট্যুইট করে বলছেন, ‘কৃষকের কল্যানে যা যা করার তা করতে কুন্ঠিত নন নরেন্দ্র মোদী’।’’ এই প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে অমিয়বাবু বলেন, ‘‘রাজনীতি করতে গেলে এত দ্বিচারিতা, এতো মিথ্যা বলতে কেন হয় জানি না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =