নয়াদিল্লি: ২০২৪-এ জোটের রূপরেখা তৈরি করতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গতকাল গুচ্ছ বৈঠকের পর আজ বিকেলে তিনি পৌঁছে যান ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে৷ কিন্তু সোনিয়া সকাশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যে সিপিএম-এৎ সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও বার্তা দেন তিনি৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সিপিএমকে আগে ঠিক করতে হবে, তাঁদের প্রধান শত্রু কে? তৃণমূল না বিজেপি? এর প্রক্ষিতে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমরা কোনও পরামর্শ চাইনি৷ ওঁকেও কোনও পরামর্শ দিচ্ছি না৷ তবে উনি একসময় বিজেপি’র সঙ্গে সরকার গড়েছেন৷ একসঙ্গে থেকেছেন৷ আরএসএস-এর মাধ্যমেই তৃণমূলের জন্ম হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’কে ঘাড়ে করে বয়ে এনেছে তৃণমূল৷ যে বিজেপি বাম আমলে শূন্য ছিল, সেই বিজেপি তৃণমূল আমলে ৭৭৷ তাই আমরা ওঁর পরামর্শ শুনতে চাইনি৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা সকলেই জানে যে, ২০০৪ সালে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন৷ সেই সময় সিপিএম বলেছিল, আরএসএস-এর তৈরি বিজেপি সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক৷ যেখানে বামেরা নেই সেখানে কংগ্রেস সহ অন্য যে কোনও শক্তিকে সমর্থন দেওয়ার কথাও আমরা বলেছিলাম৷’’ সুজন আরও বলেন, ‘‘উনি হয়তো বিরোধী মুখ নিয়ে চিন্তিত৷ কিন্তু এখন শ্রমিক, কৃষক বিপন্ন, ব্যাঙ্ক লুঠ, সিএএ সব মিলিয়ে দেশকে কী ভাবে সর্বনাশ করা হচ্ছে৷ এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ না মুখোশ তা ঠিক করতে হবে৷’’
তাঁর কথায়, বিজেপিকে ঠেকাতে হবে, সেটা আমরা করব৷ আঞ্চলিক দলগুলির কাছে আমরা আবেদন করব৷ মুখ্যমন্ত্রী বরং ঠিক করুন, উনি আগে বিজেপি’র সঙ্গে ছিলেন, এখন কার সঙ্গে থাকবেন৷ বাংলায় যেহেতু তৃণমূলই বিজেপিকে নিয়ে এসেছে, তাই দু’জনের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে৷ সারা দেশে বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই চালানোটাই আমাদের মূল লক্ষ্য৷