কলকাতা: খিদিরপুরে আক্রান্ত বাম প্রার্থী ফৈয়াজ আহমেদ খান৷ ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর গাড়িতে৷ এর পরেই খিদিরপুর মোড়ে রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বাম প্রার্থী৷
আরও পড়ুন- ‘ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য’, ‘বাড়বেই, কারণ মানুষ নয় ভোট দিচ্ছে তৃণমূল’, ফিরহাদকে খোঁচা শমীকের
ফৈয়াজ বলেন, ‘‘সকাল থেকেই বহিরাগত তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী দাপিয়ে বেরাচ্ছিল৷ পুলিশকে বিষয়টা জানিয়ে বলি, এলাকার মানুষ যেন শান্তিতে ভোট দিতে পারেন৷ এই বহিরাগতদের আটকানো হোক৷ কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি৷ নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানানো হয়৷ এলাকার মানুষ তো তৃণমূলের প্রার্থীই হতে চাননি৷ তাই ওদের বাইরে থেকে প্রার্থী করতে হয়েছে৷ আজ ভোট শুরু হতেই বহিরাগতরা এসে বুথ দখল করতে শুরু করে৷’’ তিনি আরও জানান, ‘‘মেরিন হাউজে যেতেই তৃণমূলের সমাজ বিরোধীরা সেখানে চলে আসে৷ পুলিশ লোহার গেট খুলে দেয়৷ তারা স্লোগান দিতে দিতে ভিতরে ঢুকে পড়ে৷ বুথে ঢুকে আমার পোলিং এজেন্টকে মারধর শুরু করেন৷ তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকে মাটিতে ফেলে বেধরক মারধর করা হয়৷’’ এর পর কোনও রকমে গাড়িতে উঠে পড়েন ফৈয়াজ৷ কিন্তু তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে খিদিরপুর মোড়ে অবরোধ শুরু করে বাম সমর্থকরা৷ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷
অন্যদিকে, পূর্ব পুটিয়ারিতে সিপিএম প্রার্থীর এজেন্টের বাড়িতে ঢুকে হুমকি৷ দুপুরে বাড়িতে খেতে আসার পরেই হুমকি দেওয়া হয় ওই এজেন্টকে৷ ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৫ নম্বর বুথের ঘটনা৷ এদিন দুপুরে অন্য এজেন্টকে বুথে বসিয়ে খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন৷ সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী ওই এজেন্টের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ৷ তাঁকে রীতিমতো শাসানো হয়৷ ওই এজেন্টের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন৷ তাঁদের সামনেই ছেলের হুমকি দেওয়া হয়৷ বলা হয় দুপুরের পর কোনও ভাবেই বুথে ফেরত যাওয়া যাবে না৷ বুথে গেলে ফল ভালো হবে না৷ কিন্তু সিপিএমের ওই এজেন্ট জানিয়ে দেন যে তিনি এই মুহূর্তেই বুথে যাবেন এবং যাঁরা বাড়িতে হুমকি দিতে এসেছিলেন তাঁদের বাড়ি থেকে বার করে দেন৷ তিনি অবশ্য ফের বুথে গিয়েও বসেন৷