কলকাতা: ভোট শেষ, জোট শেষ, এমনটাই বলা হয়েছিল সিপিএমের তরফে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে জোট ধরাশায়ী হয়েছিল। একটি আসন জুটেছিল, তাও বামেরা এবং কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি। ‘শূন্য’ হওয়ার পরে যেন জ্ঞান ফিরেছে! এখন একলা চলো পন্থাই নিয়েছে লাল ব্রিগেড। আসন্ন উপনির্বাচনে তাই আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে কার্যত ইতি টেনে দিল তারা।
পুজোর পরেই ৩০ অক্টোবর চার জায়গায় উপনির্বাচন রয়েছে। চার কেন্দ্রের প্রার্থী আজ ঘোষণা করে দিল সিপিএম। বামেদের পক্ষ থেকে দিনহাটা থেকে ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হয়েছেন আব্দুর রউফ। শান্তিপুর থেকে সিপিআইএম প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। খড়দহ আসনে সিপিআইএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস এবং গোসাবা কেন্দ্রে আরএসপি প্রার্থী অনিলচন্দ্র মণ্ডল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট যে হচ্ছে না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে লাল বাহিনীর তরফে। ভবানীপুর সহ তিন কেন্দ্রের নির্বাচনেও একা লড়েছে সিপিএম। এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে কংগ্রেস কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তার একটা আন্দাজ মিলেছে। বোঝাই যাচ্ছে, তারাও এককভাবে প্রার্থী দেবে আগামী নির্বাচনে। তাই লড়াই জমে যাবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, শান্তিপুরে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন ব্রজকিশোর গোস্বামী, দিনহাটায় হচ্ছেন উদয়ন গুহ এবং খড়দহে কথামত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরে যখন তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন তখনই মমতা জানিয়েছিলেন যে খড়দহে প্রার্থী হবেন শোভনদেব। অন্যদিকে গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। এদিকে বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি।