কলকাতা: নারদ কাণ্ডে রাজ্যের ৪ প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে তীব্র কটাক্ষ করল সিপিআইএম। পাশাপাশি, সমালোচনা করল কেন্দ্রীয় সরকারেরও। কেন করোনা আবহে এই গ্রেফতারি, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআইএম। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে বামেরা। পাশাপাশি, মহামারি আইন সংক্রান্ত নির্দেশ ও সার্কুলার অমান্য করে রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভ ও অবৈধ জমায়েত করা নিয়ে তৃণমূলকেও একইভাবে কাঠগড়ায় তুলেছে কমিউনিস্ট পার্টি।
সোমবার দুপুরে ৪ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের গ্রেফতারি নিয়ে দলের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, “করোনা মহামারিতে যখন সারাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের সম্মুখীন তখনই সরকারের সীমাহীন অপদার্থতা চাপা দিতে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সময়টা বেছে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশ ও রাজ্যব্যাপী করোনা মহামারির ভয়ংকর আক্রমণের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করছি আমরা। মহামারি আইন সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ ও সার্কুলারকে অমান্য করে নিজাম প্যালেস-সহ রাজ্যের সর্বত্র সরকারি দলের পক্ষ থেকে অবৈধ জামায়াত করা হচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠ গড়ায় তুলে আলিমুদ্দিনের দাবি, “নারদা টেপ নিয়ে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকার এবং তাদের পরিচালিত সংস্থাসমূহ সাত বছরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি এল কে আদবানির নেতৃত্বে গঠিত ‘এথিক্স কমিটি’-কেও অকেজো করে রাখা হয়েছিল। সংসদে স্পিকার ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন। কেন্দ্র সরকার দু-মুখো নীতি নিয়ে চলছে।” সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকের আরও বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে নিক্ষেপ করছে। বিজেপির মনে রাখা উচিত রাজ্যের মানুষ তাদের যে সরকারের চায় না সেই রায় স্পষ্টভাবে দিয়েছেন। আবার তৃণমূলের মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপির বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়।” করোনা পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবিলায় ফাঁকি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই দিয়ে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বলে দাবি সিপিআইএমের। এরকম একটা সময়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি।