নির্দেশিকা ‘বদলে’ অশোকের মান ভঞ্জন! মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক পদে বাম নেতা

নির্দেশিকা ‘বদলে’ অশোকের মান ভঞ্জন! মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক পদে বাম নেতা

শিলিগুড়ি: বিদায়ী মেয়রের আব্দারে অবশেষে প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশিকা ‘রিভাইজ’ করল নবান্ন। শনিবার এই মর্মে শিলিগুড়ি পুরসভার জন্য জারি হল নতুন নির্দেশিকা। মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান বোর্ডের। এদিকে করোনার জেরে থমকে গিয়েছে পুর নির্বাচন। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যসরকার। শুক্রবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন।কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক বলে অঊিয়োগ তুলে প্রশাসক পদ নিতে অস্বীকার করেন সিপিএমের এই প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।

তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। কলকাতা সহ বিভিন্ন পৌরসভায় যে প্রশাসক মন্ডলী গুলি এখনও পর্যন্ত বসানো হয়েছে সেখানে কোথাও বিরোধী দলের কাউকে রাখা হয়নি তাহলে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে কেন এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত? রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক অনৈতিক এবং শিলিগুড়ির মানুষের প্রতি অমর্যাদাকর এবং অপমান কর।’এরপরই এদিন ওই নির্দেশিকা নতুন করে প্রকাশিত হয় নবান্নের তরফে। তাতে বাদ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ জন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের।এরপর এদিন নিজেদের জয় উল্লেখ করে অশোক ভট্টাচার্য একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেই বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কিছুক্ষন আগেই শিলিগুড়ি পুর নিগমের প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের একটি সংশোধনী হাতে পেয়েছি। তাতে আমাদের বিগত পুর বোর্ডের মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদের সদস্যদের নিয়ে এই বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশন পুনর্গঠিত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের এর থেকে বাদ রাখা হয়েছে। আমরা এই দাবিই করে আসছিলাম।’

আগের নির্দেশ খারিজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশন গঠনে কলকাতা সহ বিভিন্ন পুরসভাতে যে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই ব্যাবস্থাই যেন শিলিগুড়িতে নেওয়া হয়। শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ব্যাতিক্রমি সিদ্ধান্ত আমরা কোনমতেই গ্রহণ করছি না। এটা জনসমক্ষে আমরা জানিয়ে দিয়েছি এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। রাজ্য সরকার বস্তবতা অনুভব করে সমস্ত বিষয়টি তারা যে পুনর্বিবেচনা করেছেন তার জন্যে আমরা সন্তুষ্ট এবং মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + ten =