কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেই ভোট ময়দানে নেমেছিলেন তারা৷ কিন্তু ভোট মিটতেই শুরু হয়েছে কোন্দল৷ কংগ্রেস ও এসএফআই-এর সঙ্গে জোটের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক৷ এবার সিপিএম-এর রাজ্যসভায় সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তুলকালাম৷ প্রকাশ্যে চলে এল দ্বন্দ্ব৷ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য৷
আরও পড়ুন- পরিষেবা চালু করতে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি রেলের, কবে থেকে চলবে ট্রেন?
সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, কংগ্রেস এবং আইএসএফ নামক ক্র্যাচ নিয়ে বামফ্রন্ট হাঁটুক, মানুষ তা দেখতে চায় না৷ এবার বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দীর্ঘ পোস্টে বারবার উঠে এল সাঁইবাড়ি প্রসঙ্গ৷ যেখানে তিনি ব্যবহার করেছেন ‘কংগ্রেসি গুণ্ডা’ কথাটি৷ সেখানে কংগ্রেসি গুণ্ডাদের হাতে সিপিআইএম-নেতা কর্মীদের মার খাওয়া ও খুনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি৷ জোট সঙ্গীর বিরুদ্ধে এহেন পোস্ট দেখে বিস্মিত রাজনৈতিক মহল৷ তবে নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ তিনি৷ তাঁর কথায় অতীতকে অস্বীকার করা যায় না৷ বিকাশবাবুর এই বক্তব্যে অনেকেই মনে করছেন, এই পোস্টে জোট সম্পর্কে শেষ পেরেক পুঁতলেন বিকাশবাবু৷
এরই মধ্যে সিপিএম-কে একহাত নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে বিকাশবাবুর এই শব্দবন্ধ দেশজুড়ে কংগ্রেসের মান খুন্ন হবে৷ পাশাপাশি সূর্যকান্ত বাবুকে ফোন করেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য৷ সূর্যকান্তবাবুর কাছে এ বিষয়ে নালিশ করার পরেই আরও প্রকট হয়ে উঠেছে প্রদীপের নীচে অন্ধকার৷ এ প্রসঙ্গে সূর্যকান্তবাবু বলেন, ‘‘কে কী পোস্ট করেছেন জানি না৷ আমরা কোনও বিতর্ক চাই না৷ এখন বিতর্কের সময় নয়৷’’ অন্যদিকে প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘পঞ্চাশ বছর আগের ঘটনা তুলে আনার কোনও মানে হয় না৷ এই ক’বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে৷ অতীতের বিষাক্ত স্মৃতি ভুলিয়েই নতুন সরকার গড়ার লক্ষ্যে জোট গড়েছিলাম৷ এমন স্মৃতি তো দু’পক্ষেরই আছে৷’’
আরও পড়ুন- দর্শনের ছাত্রী হয়ে উঠেছিলেন শ্রমিক নেতা! ভাঙড়ের হৃদয় ভেঙে প্রয়াত রেড স্টার নেত্রী শর্মিষ্ঠা!
অন্যদিকে বিকাশবাবুর সাফাই, ‘‘অতীতকে অস্বীতার করা সম্ভব নয়৷ তবে এখানে কোনও মতবিরোধ নেই যে কংগ্রেসের সাহায্য নিয়েই সংসদে গিয়েছি৷ তবে সাঁইবাড়ি নিয়ে বামপন্থীদের যে মত, সেটাই উল্লেখ করছি৷ ’’