করোনার থাবা এনআরএস-এ! আক্রান্ত কমপক্ষে ৬০

করোনার থাবা এনআরএস-এ! আক্রান্ত কমপক্ষে ৬০

কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তও। শহরের তথা রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে যে চাপ বাড়তে পারে তার অনুমান আগে থেকেই করা হয়েছে। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু যদি হাসপাতালগুলিতেই করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেয়? ঘটনা এমন দিকেই যাচ্ছে বলে আশঙ্কা। কারণ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী-সহ মোট ৬১ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ থেকেই আগেই ভাইরাস আক্রান্তের খবর এসেছিল। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তার, মেডিক্যেল অফিসার, কে ছিল না আক্রান্তের তালিকায়। এবার বাদ গেল না এনআরএস। সেখানেই আক্রান্ত বহু। তাই স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। যারা চিকিৎসা করবেন, তারাই যদি এইভাবে আক্রান্ত হতে থাকেন কোভিডে, তাহলে রোগীদের কী হবে। বিগত ৩-৪ দিনেই রাজ্যের করোনা গ্রাফ হু হু করে বেড়েছে। একলাফে সংক্রমণ ২ হাজার, ৩ হাজার হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় তো সবথেকে বেশি। তথ্য বলছে, বিগত ছয় দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে রাজ্যে। তাই এখন আরও উদ্বেগ বাড়ছে।

এই আতঙ্কের আবহেই আজ থেকে শুরু ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ৷ ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কো-উইন পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া৷ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য দেশজুড়ে কোউইন অ্যাপে ৬.৩৫ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর নাম নথিভুক্ত করেছে৷ প্রাপ্তবয়স্করা একাধিক টিকা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল৷ কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা থাকছে না। কারণ আমাদের দেশে আপাতত ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে। তবে জাইকোভ-ডি ভ্যাকসিন খনও পর্যন্ত টিকাকরণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়নি৷ ফলে কোভ্যাক্সিন ছাড়া ছোটদের কাছে অন্য কোনও টিকার বিকল্প নেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 4 =