মহা ফাঁপরে ‘মহাগুরু’, উসকানিমূলক মন্তব্যের মামলায় রিপোর্ট তলব আদালতের

মহা ফাঁপরে ‘মহাগুরু’, উসকানিমূলক মন্তব্যের মামলায় রিপোর্ট তলব আদালতের

কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই প্রেক্ষিতে নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর ৬ মে মানিকতলায় থানায় মিঠুন চক্রবর্তী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামে মামলা দায়ের হয়। বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এবার তার প্রেক্ষিতেই পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করল শিয়ালদহের এসিজেএম আদালত। আগামী ১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। 

রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুনের মুখে শোনা গিয়েছিল, “আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।” পরে আবার শীতলকুচির ( ঘটনায় নাম না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই  নিশানা করে বলেছিলেন, “ওখানে (শীতলকুচিতে) যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রণাম জানাই। কিন্তু কেন এই সব উসকানি দিয়ে চার জন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল?” সেই মামলার শুনানিতেই এবার পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করল শিয়ালদহের এসিজেএম আদালত। আগামী ১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। 

সেইদিন সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী সহ বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এমন দাবি নিয়ে মানিকতলা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের একদল কর্মী এবং সমর্থক। তাদের স্পষ্ট দাবি ছিল, নির্বাচনের আবহে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়ে বাংলার শান্তি ভঙ্গ করেছেন তারা। এই প্রেক্ষিতে এই রাজনৈতিক হিংসা উস্কানি দেওয়ার জন্য তাদের গ্রেফতার করতে হবে। মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজের সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সেটা সকলেই জানেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়ে এসেছেন। “জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে” থেকে শুরু করে “রগড়ে দেব”, “বুকে গুলি মারতে বলতাম” থেকে “আরও ৮ জন মরলে ভালো হত”, এই ধরনের একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়েছেন তারা। সেই প্রেক্ষিতেই অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =