কলকাতা: ডেউচা পাচামি নিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কাছে তাদের অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দিয়ে জানান হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী জমিদাতাদের শর্ত পূরণ না করেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। যদিও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, জমিদাতাদের সহমতের ভিত্তিতেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং তরজা যে এই নিয়ে চলবে তা বলাই বাহুল্য। আগামী ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করে রণংদেহী আদিবাসীরা, উত্তপ্ত ডেউচা-পাচামি
ডেউচা পাচামি নিয়ে বিতর্ক কিছু কম নয়। রাজ্য সরকার যে ঘোষণা করেছিল তার কিছুই পুরণ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিপুরণ এবং চাকরি খাতায় কলমে পেলেও নিয়োগ পত্র এখনও হাতে পাননি। আর এই নিয়েই ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে আদিবাসীদের মধ্যে। তারা মনে করছে, সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করবে না। এই নিয়ে অশান্তি বাড়তে শুরু করেছে সেখানে। জমিদাতাদের একাংশ ইতিমধ্যেই বীরভূমের জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিল কিন্তু সেখান থেকে কোনও রকম সদুত্তর মেলেনি। এখন তাই এই ইস্যু সামনে রেখে নতুন করে বিক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে ডেউচা-পাচামিতে।
অন্যদিকে এও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে যে, বিদেশি সংস্থার হাতে যাবে ডেউচা পাচামির দায়িত্ব। সেখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে একটি পোলিশ সংস্থা ও একটি অস্ট্রেলিয় সংস্থা। ওই দুই সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের আলোচনা হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে দুই শিল্প সংস্থার মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আদতে এর ভবিষ্যৎ কী তা এখনও অস্পষ্ট।