শূন্যপদ সৃষ্টি কীভাবে? সিবিআই তদন্ত নিয়ে পর্যবেক্ষণ আদালতের

শূন্যপদ সৃষ্টি কীভাবে? সিবিআই তদন্ত নিয়ে পর্যবেক্ষণ আদালতের

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছে অনেক মাস হল। একাধিক তথ্য সামনে এসেছে এবং একাধিক গ্রেফতারিও হয়েছে এই ইস্যুতে। আগামী বেশ কয়েক মাস যে তদন্ত চলবেই তাতেও কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু শূন্যপদ সৃষ্টি হচ্ছে কী ভাবে? পাশাপাশি সিবিআই কি এই মামলার গোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে, পর্যবেক্ষণ করল আদালত।

আরও পড়ুন: আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি শিক্ষামন্ত্রীর, কত শূন্যপদের কথা বললেন তিনি

এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, বোর্ড ৩ অক্টোবর কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। যারা শূন্য পেয়েও সার্ভারে পাশ করেছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে মামলাকারী আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে। আদালতের বক্তব্য, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন তারা নিজেরাই জানেন। হয়তো তারা চাকরি কিনেছেন বা অন্য কোনও মাধ্যমে পেয়েছেন। তারা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। ইস্তফা দিলে সেই পদ শূন্য বলে ধরা হবে। এই প্রেক্ষিতেই আদালতের হুঁশিয়ারি, যদি তারা তা না করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হবে। এমনকি তারা অন্য কোনও সরকারি চাকরি পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তাদের বিরুদ্ধে অন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, যারা পদত্যাগ করবে, তারা স্কুলের হেডমাস্টারের স্বাক্ষর নিয়ে কমিশনে উঠবে। এই কাজ ৭ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এই নির্দেশ কপি তাদের ওয়েব সাইটে দেবে। এমনকি কোনও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেবে। বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। অন্যদিকে সিবিআই নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, তারা চুপচাপ অনেক কাজ করেছে এই মামলায়। আশা করা হচ্ছে তারা আরও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করবে। এর পিছনে মাস্টার মাইন্ড খুঁজে বার করবে। বিচারপতি বলেন, ভয় না পেয়ে সিবিআই যা করেছে সেটা দেশের জন্য। এই মামলার পরের শুনানি আগামী ১৬ নভেম্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − sixteen =