বাঁকুড়া: সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর নকল করার অভিযোগে ধৃত ‘ভুয়ো চিকিৎসক’ সুদীপ্ত সর্দারকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতকে জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক এই নির্দেশ দেন।
এক সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের নাম, রেজিস্ট্রেশান নম্বর ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা জনৈক সুদীপ্ত সর্দারের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার বাঁকুড়া পুলিশ অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের দশদরগা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে ওইদিনই জলপাইগুড়ি আদালতের নির্দেশে ‘ট্রানজিট রিমাণ্ডে’ নিয়ে বাঁকুড়ার পথে রওনা হয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ অক্টোবর বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সুদীপ্ত সর্দার স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন তাঁর নাম ও মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইণ্ডিয়ার রেজিস্ট্রেশান ব্যবহার করে এক ব্যক্তি হাওড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করছেন। বিষয়টি নজরে আসার পরেই তিনি বড়জোড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাচক্রে ধৃত ‘ভুয়ো চিকিৎসক’ ও অভিযোগকারী ডাঃ সুদীপ্ত সর্দার দু’জনের নাম-পদবী এক ও দু’জনই দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরের বাসিন্দা। তবে অভিযুক্ত তাঁর পূর্ব পরিচিত নয় বলেই অভিযোগকারী ডাঃ সুদীপ্ত সর্দার ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্তের আইনজীবি স্বর্ণকান্তি সিনহা বলেন, বিচারক জামিনের আবেদন বাতিল করে অভিযুক্তের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ‘বিচারাধীন’ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে ৪১৭, ৪১৯, ৪৬৮, ৪৬৯ সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা করেছে পুলিশ৷