কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকালীন দুই তৃণমূল সাংসদের কার্টুন এঁকে মামলায় জড়িয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র৷ মামলায় নাম জড়িয়েছিল আরও চারজনের৷ কার্টুন-কাণ্ডে ২০১২ সালের এপ্রিলে গ্রেফতার করা হয় অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। কিন্তু নিছক রসিকতার জেরে কেন গ্রেফতার করা হবে, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল৷ সেই ঘটনার ৯ বছর পর মামলা থেকে আংশিক স্বস্তি পেলেন অম্বিকেশবাবু৷
আরও পড়ুন- পুজোর মরশুমে সুখবর! আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’
মঙ্গলবার আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, অম্বিকেশ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে পুলিশ যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারায় অভিযোগ হয়েছে৷ কিন্তপ এই মামলায় তা প্রযোজ্য নয়। উল্লেখ্য ২০১৫ সালেই অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে আনা ৬৬এ ধারা বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ ২০১২ সালে অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে এই ধারা এনেছিল পুলিশ৷ চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে নাম ছিল অম্বিকেশবাবুর আবাসনের বাসিন্দা তথা আবাসন কমিটির সম্পাদক সুব্রত সেনগুপ্তের৷ যদিও ২ বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি৷
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর৷ অম্বিকেশবাবুর বিরুদ্ধে আনা ৫০০ এবং ৫০৯ ধারা (মানহানি ও কটূক্তি) প্রয়োজ্য কিনা, ওই দিন সে নিয়ে শুনানি হবে৷ আদালতের নির্দেশে এই দুই ধারা প্রযোজ্য না হলে, ৯ বছর পর কার্টুন মামলা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাবেন যাদবপুরের অধ্যাপক৷