কলকাতা: আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআই শুরু থেকেই তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। এদিন আদালতে তৃণমূল নেতার আইনজীবী জামিন চাইলেও একইভাবে বিরোধিতা করা হয়। দাবি করা হয়, তাঁকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। আদালত অনুব্রতকে জামিন দেয়নি বরং তিনি যে প্রভাবশালী, সেটারই মান্যতা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপূজার অনুদানের ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
জানা গিয়েছে, এদিনের রায়ের আদেশনামায় সরাসরি লিখেই দেওয়া হয়েছে যে অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব প্রশ্নাতীত। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই আদেশনামার কারণে তৃণমূল নেতা ভবিষ্যতেও জামিন নাও পেতে পারেন। এদিন আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল কিছুই বলছেন না। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। অভিযুক্ত প্রভাবশালী, তাই ছাড়া পেলে তদন্ত প্রভাবিত হবে।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর আর্জি ছিল, দরকার হলে বীরভূমে থাকবেন না তাঁর মক্কেল। নিজাম প্যালেসের পাশে বাড়ি করে থাকবেন। বীরভূমের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকবেন না। তাও তাঁর আর্জি মান্যতা পেল না। এমনিতেই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে সিবিআই। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অনেক জনের হদিশ মিলেছে। প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তৃণমূল নেতার মেয়ে সুকন্যাকে নিয়েও মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিকে গরু পাচার যে বন্ধ হয়েছে তা নয়। একই সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে নিয়েও এখনও তদন্ত চলছে।