দুর্গাপুর: শিশু চুরির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দুর্গাপুরের পুলিশ এক দম্পতিকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে শিশুকণ্যাকে। বর্ধমান থেকে চুরি করে দুর্গাপুরে শিশুকন্যাকে নিয়ে আসেন। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুরে আসার সময় একটি স্টেট বাসে শিশুকন্যার উদ্দেশে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই দম্পতিকে দেখে দুর্গাপুর পুলিশের প্রথমে সন্দেহ হয়। দুর্গাপুর পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। পরে কাঁকসা থানার সাহায্য বেনাচিতির সত্যজিত পল্লি থেকে ওই দম্পতিকে আটক করে দুর্গাপুরের পুলিশ। উদ্ধার করা হয় শিশুকন্যাটিকে। জানা গিয়েছে, একমাস ধরে সত্যজিত পল্লির ওই বাড়িতে ভাড়া থাকছেন দম্পতি।
শুক্রবার বিকেলে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে রিমা মালিক একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই সময় নিজেকে আশা কর্মী পরিচয় দিয়ে এক মহিলা জানান, কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার জন্য ছয় হাজার টাকা পাবে। সেই টাকা আনার জন্য ওই মহিলা শিশু সন্তান ও তার বাবা-মাকে নিয়ে বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে ওই মহিলা হাসপাতালের ভিতর প্রবেশ করে শিশু কন্যাটিকে নিয়ে। কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও ফিরে না আসার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যান শিশুটির বাবা-মা। সিসিটিভিতে দেখা যায়, মহিলা হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এরপরেই পুলিশে যোগাযোগ করা হয়। বর্ধমানের সমস্ত থানাতে খবর দেওয়া হয়। বর্ধমান থেকে যাওয়া ট্রেন ও বাসে শিশুটির সন্ধানে তল্লাশি শুরু করা হয়।
কাঁকসার টোলপ্লাজায় একটি বাসে সন্দেহভাজন দম্পতি ও তাদের শিশুকন্যাকে দেখে জিজ্ঞাসাবাজ করে পুলিশ। সেই সময় ওই দম্পতি তাদের দুর্গাপুর থানার পুলিশেক সহযোগিতীয় বেনাচিতির সত্যিজিত পল্লি থেকে দম্পতিকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় শিশু কন্যাটিকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, আটক দম্পতির নাম পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বৈরাগ্য ও মনি বৈরাগ্য। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এটা তাদের আসল নাম নয়। এই আসল নাম ও ঠিকানার জন্য পুলিশ আরও জেরা করেছে। ঘটনার পিছনে আরও বড় চক্র কাজ কাজ করছে কি না, সেই দিকটাও পুলিশ খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে।