নয়াদিল্লি: দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচুর বিজ্ঞাপনের মধ্যে এবার ভারতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুনিয়ায় সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সের একটি এদেশের৷ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি সংস্থা তেমন কোনও কাজ করেনি বলেও দাবি তাঁর৷
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমতে শুরু করে বলেও দাবি তাঁর। পাশাপাশি তিনি এও আশ্বাস দেন, আর্থিক বছরের শেষ কোয়ার্টারে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি৷ তিনি বলেন, চলতি বছরের চেয়ে আগামী বছরে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে৷ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রফেসর অভিজিৎবাবুর দাবি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির অণুঘটকগুলি যথেষ্ট কাজ করে না৷
তিনি বলেন, এবিষয়ে দেশের অর্থনীতিবিদদের আরও বেশি কিছু ভাবা উচিত৷ তাঁর দাবি, যেহেতু সরকার চায় না দেসের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের হাতে অর্থ থাকুক সেহেতু দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের ব্যয়বৃদ্ধির হার বাড়ানোর কথা ভাবাই হয়নি৷ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি মূলত সরকারের তৈরি বিপুল চাহিদার নিরিখে বদ্ধ অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। যার ফলে বৃদ্ধি বেশী দেখালেও আদতে তা মুদ্রাস্ফীতিরই নামান্তর৷
গত কুড়ি বছর ধরে দেশে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে বৃদ্ধি বেশীও লক্ষিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে ভারতের প্রতিযোগীতার স্পৃহা আরও বাড়াতে হবে বলে এই খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ মনে করেন। নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পরই দেশের অর্থনীতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবিষয়ে তাঁর কাছে পরামর্শও চাওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষক অমর্ত্য সেনের পথ ধরেই অভিজিৎবাবুও ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হননি।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি নানা সমালোচনাও করেন। তাতেই ক্ষ্ুব্ধ হন বিজেপি নেতৃবৃন্দ। অভিজিৎবাবুর সম্পর্কে বিভিন্ন বিরূপ মন্তব্য করা হয়। তবে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত এই প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ বারবার সেবিষয়ে পরামর্শ দিতে থাকেন৷