কলকাতা: সংক্রমণ কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না রাজ্যের। গতকাল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬,৭৬৯ জন, আজ সেই সংখ্যা দাঁড়াল ৬,৯১০ জনে! কার্যত পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস সুনামি হচ্ছে তা বলায় বাহুল্য। পরিস্থিতি আরও করুণ থেকে করুণতর হচ্ছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যের নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৯১০ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
গত ২৪ ঘন্টায় ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২,৮১৮ জন। যদিও দিনপ্রতি সংক্রমণ নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর। পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কলকাতা। সেখানে একদিনে সংক্রামিতর সংখ্যা ১,৮৪৪ জন! সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ১,৫৯২ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪০২। হাওড়ায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৪২০ জন। এদিকে রাজ্যের সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯১.৯৯ শতাংশ। শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪১,০৪৭। বুধবারের তুলনায় ৪,০৬৬ বেশি।
দিনপ্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বাড়তে থাকায় একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক অন্য দিকে ক্রমশ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় বেহাল অবস্থা হচ্ছে বেলেঘাটা আইডির। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানের অভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি লিখেছে এই ব্যাপারে। জানা গিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং তিনজন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই তিন জন চিকিৎসক কাজে যোগ দেননি বলে খবর। বেডের সংখ্যা বাড়ানো হলেও সামগ্রিকভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনভাবেই আনা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সদের অভাব স্বাভাবিকভাবে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বেলেঘাটা আইডির অধ্যক্ষা।