কলকাতা: করোনাভাইরাস যেভাবে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যে তাতে কালঘাম ছুটেছে চিকিৎসক মহল এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৭৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের! সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার, সুস্থতার হার কমতে কমতে ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.২৩ শতাংশে।
তথ্য বলছে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে শহর কলকাতা যেখানে একদিনে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ২,৫৬৮ জন। এর পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা যেখানে গত একদিনে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৪৯ জন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলির সংক্রমণ। আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি জেলা। এইসব কয়টি জেলার সংক্রমণ ৫০০ জনের ওপরে। এখনো পর্যন্ত রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬, ৮৮, ৯৫৬ জন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০, ৭১০ জন। ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬, ১৪, ৭৫০ জন যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ফিরেছেন ৫, ৬১৬ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ কেস ৬৩, ৪৯৬ জন। এদিকে, ষষ্ঠ দফা ভোটের আগেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা। তবে তিনি ভার্চুয়াল প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন যে, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১০০ কোটি টাকার পৃথক তহবিল তৈরি করা হবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ১৮ বছরের উর্ধ্বে টিকাকরণ রাজ্যে শুরু হবে ৫ মে থেকে কারণ ২ তারিখ গণনা রয়েছে নির্বাচনের। তিনি জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ১ কোটি মানুষ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন। জানান এই মুহূর্তে ১১ হাজার বেড রয়েছে, সেটা আগামী দু-একদিনের মধ্যেই ১৩ হাজার হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে সেফ হোমের সংখ্যা। একই সঙ্গে অক্সিজেনের চাহিদা যে পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে সেই দিকে নজর দিয়ে মমতা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে যাতে অক্সিজেনের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই ব্যাপারে আলাদা নজর দিতে হবে। এমন যেন পরিস্থিতি না হয় যে, যে যেমন খুশি ইচ্ছা দাম নিচ্ছে।