কলকাতা: দেখতে দেখতে পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও করুণ থেকে করুণতর হচ্ছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই রাজ্যের নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৪৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১১৪৬ জন। যদিও দিনপ্রতি সংক্রমণ নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর। পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে কলকাতা। সেখানে একদিনে সংক্রামিতর সংখ্যা ৬৭৫ জন! যদিও সুস্থতার হার ৯৫.২২ শতাংশ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮, ৬০৩ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬ হাজার ৪৫৫ জন এবং ৯ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জনের। কলকাতার পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনার। তার পরেই রয়েছে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি। এদিকে, শুক্রবার গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৬৮। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ২৮৬ জন। ছত্তিশগড়ে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৬২। উত্তরপ্রদেশে ৮ হাজার ৪৯০ জন, দিল্লিতে ৭ হাজার ৪৩৭ জন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দেশে বড়োসড়ো ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দিনপ্রতি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে হু হু করে। ইতিমধ্যেই গত কয়েক দিনে ভারতে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গতকাল একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল ‘টিকা উৎসব’ পালন করার বার্তা দিয়েছেন। গতকাল মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন কার্যকরী না করে ‘করোনা কার্ফু’ লাগু করার বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন যে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলছেন, দেশে এখন টিকা সঙ্কট চলছে, তাই এই পরিস্থিতিতে এখন কোন রকম ‘উৎসব’ হতে পারে না।