কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাঁসর, ঘন্টা,শাঁখ বাজানো বা প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালানো, এসব টোটকা দিয়ে দেশের সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এমনটাই দাবি ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির। প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে সংগঠনের বক্তব্য, এইধরণের পদক্ষেপ মানুষের মনে ধর্মীয় বিশ্বাসের আড়ালে যে কুসংস্কার বাসা বেঁধে আছে তাকে উৎসাহিত করা।
দেশবাসীর মনে এমন এক কৃত্রিম আবেগের সৃষ্টি করা যার সঙ্গে করোনার কোন সম্পর্ক নেই বরং এর আগের অভিজ্ঞতা বলছে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে যেভাবে জমায়েত হয়েছিল, এবার আলো নিভিয়ে প্রদীপ, মোমবাতি জ্বালিয়ে সেই একইভাবে জমায়েত হলে আবারও লকডাউন বিধি ভঙ্গ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা সহ, গবেষক,চিকিৎসক এবং বিজ্ঞান সংগঠনগুলি করোনা সংক্রমণ রুখতে যে সমস্ত বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন একমাত্র সেগুলো মেনে চললেই করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়া সম্ভব।
প্রশাসনের কাছে ব্রেকথ্রু-র আবেদন শুধুমাত্র বিজ্ঞান সম্মত স্বাস্থ্যবিধি এবং দরিদ্রের জন্য পর্যাপ্ত রেশন পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হোক। এই বিজ্ঞান মনস্ক সংগঠনের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে স্বিস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, সাধারণ মানুষের সুরক্ষা থেকে জরুরী পরিষেবা প্রদান, দরিদ্রের শ্রমিক ও দিনমজুরদের খাদ্যবন্টন সবক্ষেত্রেই দেশের শাসকের বিফলতার চিত্র দেখা যাচ্ছে।
তবে তাঁরা আশাবাদী যে বহু মানুষ ধর্মীয় বিধান বা টোটকা চিকিৎসার বুজরুকির ওপর ভরসা না করে বিজ্ঞান ও চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রাখতে চাইছেন। সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে করোনা সংক্রামণ এড়ানো যাবে এবং আকক্রান্তরাও সম্পূর্ণভাবে সেরে উঠতে পারে বলেও আশ্বাস দিয়েছে সংগঠন। সাধারণ মানুষকেও অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারায় প্রভাবিত না হয়ে বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি।