করোনা মোদীর তৈরি মহামারী! কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন মমতা

করোনা মোদীর তৈরি মহামারী! কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন মমতা

বালুরঘাট: গত বছরের ডিসেম্বর মাস এর পর থেকে দেশ এবং রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে দিনপ্রতি সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশে এক দিনে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, এদিকে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৯ হাজার। অল্প সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক সংক্রমণের দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি স্পষ্ট বলছেন, বাংলায় এসে ভাইরাস ছড়াচ্ছে বিজেপি কারণ তারা বহিরাগতদের নিয়ে আসছে রাজ্যে।

মমতার কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার বছরের শুরুতে বলল করোনাভাইরাস চলে গেছে। যদি চলে গিয়ে থাকে তাহলে এখন আবার কি করে ফিরে এলো, প্রশ্ন করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার সাধারণ মানুষের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু আসলে তারা বহিরাগত রাজ্যে নিয়ে এসে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে মমতার স্পষ্ট বক্তব্য, করোনাভাইরাস মোদীর তৈরি মহামারী, এটা মানুষের তৈরি মহামারী নয়। বহিরাগত ইস্যু তুলে তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি অন্য রাজ্য থেকে বহিরাগতদের পশ্চিমবঙ্গে আনছে, তারা গুন্ডামি করার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলছেন, দেশে ওষুধ এবং অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই এদিকে ভারতের তৈরি ওষুধের ৬৫ শতাংশ বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লি থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে হাহাকার চলছে অক্সিজেনের জন্য। এদিকে বাংলাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে একাধিক পর্যবেক্ষকরা আসায় তাদের জন্য ঘর ছেড়ে দিতে হয়েছে সেই কারণে সেফ হোম তৈরি করা যাচ্ছে না বেশি করে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ইতিমধ্যেই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি সেফ হোম প্রস্তুত করা হয়েছে তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। 

যদিও করোনা আবহের মাঝেই সাধারণ মানুষকে ভোট নষ্ট না করার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন সমস্ত নিয়ম বিধি মেনে নির্দিষ্ট সময় যেন সকলে ভোট দেন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে, যারা ভোট দেবেন না পরবর্তীকালে তাদের ভোটার কার্ড বাতিল করে দেবে। এই প্রেক্ষিতে নাগরিকত্ব আইন থেকে শুরু করে এনপিআর-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *