কলকাতা: করোনা ভাইরাস তৃতীয় ঢেউ দেশে এসে পড়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা বলে দিচ্ছেন। উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে দৈনিক আক্রান্ত নিয়ে। একদিকে ওমিক্রন হানা, অন্যদিকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্য, যা বিরাট চিন্তার। দেশের একাধিক রাজ্যের মত বাংলাতেও একই অবস্থা। বিগত কয়েক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী। এবার কলকাতা পুলিশেও করোনার কামড়। এক ধাক্কায় আক্রান্ত ৮৬ জন।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশের ৮ জন আইপিএস সহ মোট ৮৬ জন ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এই ইস্যুতে রীতিমত চিন্তায় রয়েছে লালবাজার। একে তো শহর কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। আবার চিকিৎসকদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবার যারা শহর রক্ষা করেন, তারাই যদি আগের মত ফের আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে পরিস্থিতি কোন জায়গায় যাবে, তা আন্দাজ করা সত্যি কঠিন। তবে এই অফিসাররা ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা, তা জানা যায়নি এখনও। উল্লেখ্য, গতকালই জানা গিয়েছিল, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতালেও করোনা থাবা বসিয়েছে। কলকাতা মেডিক্যেল কলেজের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ অফথ্যালমোলজির ১২ জন চিকিৎসক। অন্যদিকে, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী-সহ মোট ৬১ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ থেকেই আগেই ভাইরাস আক্রান্তের খবর এসেছিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ০৭৮ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৮০১ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ১ হাজার ০৫৭ জন। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ২২৮ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৯৪ জনের। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে একদিনে বঙ্গে সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৯১৭ জন। সেই নিয়ে বাংলায় আপাতত মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৬ লক্ষ ১৫ হাজার ২৪৮ জন।