কলকাতা: আক্রান্ত সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে পরিষ্কার যে দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাস সেকেন্ড ওয়েভ। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯, ৭২৬ জন! একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। এদিকে শহর কলকাতাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সেই প্রেক্ষিতে একাধিক বিধি-নিষেধ মান্য করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, নির্বাচনের সময় মিটিং মিছিলে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে কলকাতা কর্পোরেশন কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিটিং-মিছিলের সময় মুখে মাক্স পড়ুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। শুধু কলকাতা পৌরসভা সতর্ক হলে চলবে না। সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে হবে। আলিপুর, ভবানীপুর বাজার, এই জায়গা গুলোতে একটু ও বহুতলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে বিগত কয়েকদিনে ব্যাপক হারে বেড়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ইতিমধ্যেই আগের মত সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গেলেও নতুন করে যেভাবে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আতঙ্ক বাড়ছে আগের মতই। ফের একবার লকডাউন এবং কার্ফু জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। চিকিৎসক মহল থেকেও সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে দেখা গিয়েছে যে সাধারণ মানুষ এখন মাস্ক ছাড়াই বেশিরভাগ সময় বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফলে সাধারণ মানুষকেই ফেরাবার ভুগতে হবে বলে ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নিজের কেন্দ্রেই বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না হিরণ! তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি প্রার্থীর
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে ভোট সংগঠন হওয়াও একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনের জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে মিটিং এবং মিছিলে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দুর, কেউ স্যানিটাইজার বা মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাই উদ্বেগ এবং আতঙ্ক যে বাড়বেই তা বলাই বাহুল্য।