কলকাতা: কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং জেলার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এই চার জেলার বিভিন্ন এলাকায় কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য। এই চার জেলায় কোভিড ভ্যাকসিনে জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া টেস্টও বাড়াতে বলা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ব্যারাকপুর মহকুমার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি। ওই মহকুমায় টিকাকরণের পরিমাণও কম। মাত্র ৩০- ৩৫ শতাংশ। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙড়, সোনারপুর ও বারুইপুরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন নবান্ন। কলকাতা পুরসভার পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলেও পার্শ্ববর্তী এলাকাতে পরিস্থিতি খারাপ। তাই এইসব এলাকায় প্রয়োজনে কনটেইনমেন্ট জোন করা, ভ্যাকসিন দেওয়া ও টেস্ট করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি রাখার পিছনে রাজ্যের যুক্তি, না আটকালে কোভিড বেড়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
এদিকে আজই বিবৃতি প্রকাশ করে রাজ্যর করোনা বিধি নিষেধ বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য সচিবের তরফে জারি করা হয়েছে একটি নির্দেশিকা, যেখানে বলা হয়েছে ৩১ জুলাই থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। যদিও লোকাল ট্রেন চলবে কী চলবে না সেই ব্যাপারে এখনো কোনো রকম নির্দেশ আসেনি। তাই ধরে নেওয়া যায় যে আপাতত লোকাল ট্রেন বন্ধই থাকছে। যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ বিধির মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে নাইট কার্ফুতে কড়াকড়ি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হার’ নিশ্চিত! রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি
আগেই, জেলাগুলিতে রাতের বেলা নজরদারি বাড়ানোর জন্য নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী। রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি করেছে রাজ্য সরকার। জরুরী পরিষেবা ছাড়া এই সময় সাধারণ মানুষের বাইরে বেরোনো একেবারেই বন্ধ। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাতের বেলা বহু মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ম বিধি লঙ্ঘন করছেন। এমনকি রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে অনেক বার এবং রেস্তোরাঁ। সেই প্রেক্ষিতেই নাইট কার্ফু আরো কড়া করার কথা ভেবেছিল নবান্ন।