কলকাতা: রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনে বকেয়া ভোট পর্ব সাঙ্গ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভোট আয়োজনের আগে ওই সব এলাকার করোনা পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। গত দু সপ্তাহে ওই সব বিধানসভা এলাকায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ১০ জুলাই পর্যন্ত সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে দিনহাটা বিধানসভা এলাকায ৪২ জন, ভবানীপুর এলাকায় ২৬, খড়দহে ২৬ জন, গোসাবা বিধানসভায় ১৭ জন, শান্তিপুরে ৩৯ জন, সামশেরগঞ্জে ১ জন এবং জঙ্গিপুরে ৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ওই সব আসনে নির্বাচন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যদি সংশ্লিষ্ট বিধানসভা এলাকায় করোনা চিত্র সম্পর্কে জানতে চায় সে কারণেই ওই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, এই ৭ কেন্দ্রের মধ্যে সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। ভবানীপুর, খড়দহ-সহ ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচন চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধিদল ওই দাবি নিয়ে আজই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন- যোগী রাজ্যে ভোট যুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকেই চায় কংগ্রেস, টুইটারে ট্রেন্ডিং ‘দিদি আ রহি হ্যায়’
কিছু সময় আগেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে তারা চাইছেন যাতে তাড়াতাড়ি উপনির্বাচন হয়ে যায়। উপনির্বাচন সংগঠিত করতে রাজ্য সরকার প্রস্তুত বলেও দাবি করেছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রাজধানীতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে আজ। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় থেকে শুরু করে সৌগত রায়। সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের উপনির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে শাসক দল। সেই কারণেই এদিন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ব্যাপারটিতে আরো এক ধাপ এগোতে চাইছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই স্পষ্ট দাবি করেছিলেন যে, নির্বাচন সংঘটিত করে মাত্র ৭ দিন প্রচারের জন্য সময় দিলেই চলবে। এও জানিয়েছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন, অনুমতি পেলেই তারা নির্বাচনের দিনক্ষণ হয়তো ঘোষণা করে দেবে।