জয়ের পথে আরও এক ধাপ, কলকাতা পুলিশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ৫০ শতাংশ

কলকাতা: কোভিড মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মনিটরিং অ্যাপস এবং কোভিডোর জন্য বিশেষ SOP গুলি চালু করা সবরকম প্রচেষ্টাই চলছে। এছাড়া করোনা যোদ্ধাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি, কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখার কাজও করছে সরকার। এর ফল মিলেছে হাতেনাতে। গত সপ্তাহে ৪০০ জন পুলিশ আধিকারিক সুস্থ হয়ে ফের কাজে যোগ দিয়েছেন। 
 

574be6587aed23f01d0cfd398b8491be

কলকাতা: কোভিড মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মনিটরিং অ্যাপস এবং কোভিডোর জন্য বিশেষ SOP গুলি চালু করা সবরকম প্রচেষ্টাই চলছে। এছাড়া করোনা যোদ্ধাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি, কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজনের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখার কাজও করছে সরকার। এর ফল মিলেছে হাতেনাতে। গত সপ্তাহে ৪০০ জন পুলিশ আধিকারিক সুস্থ হয়ে ফের কাজে যোগ দিয়েছেন। 

গত ৫০ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো কলকাতা পুলিশে মোট নতুন কোভিড মামলার সংখ্যা ১৫ এর নিচে নেমে এসেছিল। যখন মাস শুরু হয়েছিল, তখন গড়ে এই সংখ্যা ৪০ এরও বেশি ছিল। কল্যাণ সেলের দায়িত্বে থাকা একজন প্রবীণ আইপিএস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “গত সপ্তাহ থেকে এই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র নয়টিতে। তবে বুধবার এই সংখ্যা ২০-তে গিয়ে ঠেকেছে। বৃহস্পতিবার সেখানে ১৪ জনের করোনা আক্রান্তের খবর মেলে এবং শুক্রবারে সবচেয়ে কম করোনায় আক্র্নত হন- ৮ জন।”

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মোট সক্রিয় মামলার সংখ্যা এখন ১৫০ এর নিচে। জুলাইয়ের শুরু থেকে এই সংখ্যা অনেকটাই কম। এই মাসের শুরুতে, ফোর্সে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন আক্রান্ত হত। শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা পুলিশে মোট ১ হাজার ৯১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১ হাজর ৭৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। লালবাজার এক কর্মকর্তা বলেছেন “আমাদের সবসময়ই সুস্থতার হার খুব ভাল ছিল। এবার, যদি আমরা আরও কয়েক দিনের জন্য নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ এর নিচে থাকে, তবে আমরা বলতে পারি যে আমাদের পদক্ষেপগুলি কাজ করছে।”

পুলিশরা বলেছে যে হাসপাতালে ভর্তির হারও ভাল রকম হ্রাস পেয়েছে। ওসি এবং এসিপি সহ বেশিরভাগ পুলিশকর্তাই হোম আইসোলেশনে থাকতে চেয়েছিলেন। গত ৪৮ ঘণ্টা পুলিশের থেকে প্লাজমা অনুদানের জন্য কমপক্ষে নয়টি নতুন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এ পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ ১২ বার প্লাজমা দান করেছেন। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁরা কলকাতার বাইরে থেকেও প্লাজমা দানের অনুরোধ পেয়েছেন। সেই অনুরোধ রক্ষার যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান আর এক কর্মকর্তা। মুকুন্দপুর হাসপাতালের সার্জেন্টের কাছ থেকে প্লাজমা প্রাপ্ত রোগীর আত্মীয় বলেছিন, “পুলিশদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া দ্রুত পাওয়া গিয়েছে। এ কারণেই আমরা তাঁদের উপর আশা রেখেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *