কলকাতা: আসছে পুজো৷ করোনা আবহে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ মহামারীর মধ্যেও প্রাণের উৎসবে মেতে উঠার প্রস্তুতিও চলছে গৃহস্থে৷ গৃহস্থালী সরঞ্জাম গোছানোরও কাজ চলছে যৎসামান্য আয়োজনে৷ কেননা, এবার করোনা তো সবকিছু এলোমেলো৷ আয় উপার্জন কম হলেও প্রাণের উৎসবে মেতে ওঠার চেষ্টা চলছে৷ কিন্তু, উৎসবের আগে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ জনতার একাংশ৷ উৎসবের মুখে রান্নার গ্যাসের জোগান নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকদের একাংশ৷
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের জোগান বেশ খানিকটা কমেছে৷ পুজোর সময় তার প্রভাব গ্যাসের জোগানের উপর পড়তে পারে বলে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা৷ কেননা, প্রতিবছর পুজোর জন্য রাস্তাঘাটে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রিত করা হয়৷ আর তার জেরে ডিস্ট্রিবিউটরের ঘরে সিলিন্ডার পৌঁছতে সমস্যা দেখা দেয়৷ একদিকে পুজোর ছুটি ও অন্যদিকে উৎসবের যান নিয়ন্ত্রন, সব মিলিয়ে কিছুটা জট পাকিয়ে যায় জোগানে৷ এবার সেই একই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা৷
পুজোর এখনও দিন দশেক দেরি৷ সিলিন্ডার সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ সাধারণত, গ্রাহক গ্যাস বুকিং করারদু’দিনের মধ্যে গ্রাহকদের বাড়িতে সিলিন্ডার পৌঁছে যাওয়ার কথা৷ কিন্তু, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে দু’দিনের মধ্যে গ্যাস ডেলিভারি হলেও এখন তা কম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দিনে বেশি৷ কোথাও কোথাও তা এক সপ্তাহ কেটে যাচ্ছে৷
ডিলারদের একাংশের দাবি, পুজোর সময় সিলিন্ডার ডেলিভারি নাও হতে পারে, এই আশঙ্কায় করে বহু গ্রাহক আগাম গ্যাস বুক করতে শুরু করেছেন৷ করোনা আবহে সিলিন্ডার বুকিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে৷ প্রথম সিলিন্ডার কেনার পর দ্বিতীয় সিলিন্ডারের বুকিং করার ব্যবধান ১৫ দিনে করে দেওয়া হয়েছে৷ আনলক পর্বের পর সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়৷ এখন গ্রাহকদের সিলিন্ডার বুকিংয়ে ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই৷ পুজোর সময় বাড়িতে সিলিন্ডার মজুত রাখতে চেয়ে ফি বছর ‘প্যানিক’ বুকিং হয়েছিল৷ তাতে চাহিদা বেড়ে যায়৷ করোনা আবহে এবারও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ডিলারদের দাবি, বটলিং প্ল্যান্টগুলির কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ তার উপর পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে গ্যাসের ডেলিভারি দেরিতে হচ্ছে৷ এর পরও যদি বুকিংয়ের সংখ্যাও বেড়ে যায়, তাহলে সিলিন্ডার পৌঁছাতে আরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ডিলারদের৷