মালদা: নিজের চেম্বারে বসে পিস্তল হাতে নিজস্বী তুলে ফাঁপড়ে তৃণমূল নেত্রী৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি৷ যেখানে স্পষ্ট তাঁর হাতে দেখা গিয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র৷ আর এই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷ অস্বস্তিতে পড়েছে দল৷ যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল.কম৷
আরও পড়ুন- ‘জওয়াদ’ বিদায়ে পারদ নামার ইঙ্গিত, কবে থেকে জাঁকিয়ে বসবে শীত?
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালদা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি৷ কিন্তু কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি৷ তোপ দেগে বলেন, ‘এটাই শাসকদলের সংস্কৃতি’৷ অন্যদিকে, এই মুহূর্তে জেলা সফরে মালদাতেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জেলা সফরের মাঝেই দলীয় নেত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল হতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। এই ছবি দেখে অবাক ব্লক আধিকারিকও। তবে এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতি তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মৃণালিনী মণ্ডল মাইতি। অবশ্য তাঁর দাবি, এটা আগ্নেয়াস্ত্র নয়, লাইটার৷ ছবিটিও বছর খানেক পুরনো৷
রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকারি চেয়ারে বসে এই ধরনের কাজ একেবারেই কাম্য নয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি খেলনা না আসল সেটা পুলিশ অনুসন্ধান করে জানাবে৷ তবে, যেই ছবিটি দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে এটা আসল আগ্নেয়াস্ত্র।’’ ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে শাসক দল৷
অন্যদিকে, এই বিতর্কিত ছবি প্রসঙ্গে বিজেপি’র জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘১১ বছর ধরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি মালদাকেও বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে শাসকদল। এটাই ওদের সংস্কৃতি। পিস্তল দেখিয়েছে। খুঁজলে বোমাও পাওয়া যাবে। একে ৪৭-ও পাওয়া যেতে পারে।’’