কলকাতা: বন মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়েরসঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের ইস্তফা পত্র তাঁর কাছে জমা দিয়েছেন রাজীব। এবার এই নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হল। সাংবিধানিক রীতি মেনে ইস্তফা দেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই তাঁর ইস্তফা গৃহীত হবে না, মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত তিনি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে এমন টাই।
মূলত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে পদত্যাগ পত্র দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উঠছে সাংবিধানিক রীতি না মানার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট ইস্যুতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাখ্যা করা হয়েছে, মন্ত্রীদের নিয়োগকর্তা হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ইস্তফা দিতে গেলে তাঁকেই দিতে হবে। পরে তিনি সেই ইস্তফাপত্র নিজে রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন, নিয়ম এটাই। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফাপত্র না দিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের কাছে তা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক রীতি না মানার অভিযোগ উঠছে। এই ভিত্তিতে পদ্ধতিগত কারণে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের সিদ্ধান্তের আসল কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, যখন তাঁকে না জানিয়ে তার দফতর বদল করা হয়েছিল তার পরেই তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নিরস্ত করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি নিজের মনের ভেতর অনেক ক্ষোভ রেখে কাজ করছিলেন সেগুলো সামনে আনেননি। কিন্তু বিগত এক মাসে তার কয়েকজন সহযোদ্ধা’ এবং সহকর্মী যেভাবে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন সেটা তিনি কিছুতেই মানতে পারেননি। রাজীবের কথায়, তিনি প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং হয়তো সেই আঘাত থেকেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন না হলে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এখন হয়তো নিতেন না। আজ তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে থাকেন, তারপর ইস্তফা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।