টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা? তৃণমূল প্রার্থীর ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা? তৃণমূল প্রার্থীর ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

বলরামপুর: আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই ভোট শুরু হতে, প্রথম দফার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে এরই মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বলরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর একটা ভিডিওকে কেন্দ্র করে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রচারে বেরিয়ে একজনের হাতে তিনি কিছু ‘গুঁজে’ দিচ্ছেন পকেট থেকে বের করে! বিরোধীরা ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে যে, তৃণমূল প্রকাশ্যে টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ভিডিও জল্পনা বাড়াচ্ছে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল। 

যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রচারে বেরিয়ে বলরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো রাস্তার পাশে একজনের হাতে কিছু ‘গুঁজে’ দিচ্ছেন। পরণে সাদা কুর্তা-পাজামা, গলায় মালা। সমর্থকদের নিয়ে তিনি গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছেন। একজনের সঙ্গে দেখা হতেই তিনি কিছু একটা তার হাতে ‘গুঁজে’ দেন! বিজেপি এই ভিডিওর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে যে, শান্তিরাম ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন! যদিও ভিডিওতে শান্তিরামের গলায় ‘কেমন আছেন’ ছাড়া আর কোনও কথা শোনা যায়নি। কিন্তু তিনি হঠাৎ কী বের করে ওই লোকটিকে দিলেন তা যদিও অস্পষ্ট। কিন্তু বিরোধীরা টাকাই ‘দেখতে পাচ্ছেন’। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তারা নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথা ভেবে নিয়েছে।  

 

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই হয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সম্প্রতি জিতেন্দ্র মন্তব্য করেছিলেন যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে তিনি পাণ্ডবেশ্বরের প্রবীণ নাগরিকদের বিনা খরচে অযোধ্যায় নিয়ে যাবেন রাম মন্দির দর্শনের জন্য। এই মন্তব্য করেই বিপাকে তিনি। আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট দাতাদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলা যায় না। আর ঠিক এই জায়গাতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি সেখানকার বয়স্কদের বিনা খরচে রাম মন্দির দর্শন করাবেন বলেছিলেন ভোটে জেতার পর, তাই নিয়ম অনুযায়ী তিনি আদর্শ আচরণবিধি লংঘন করেছেন। সেই কারণেই তাঁকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভিডিও: জান কি বাত (টুইটার)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *