control room

শিলিগুড়ি: রাজ্যের সাত জেলায় আগে থেকেই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এবার সিকিমের বিপর্যয় আরও শঙ্কা তৈরি করেছে। কারণ সিকিম এবং দার্জিলিং-এর পার্বত্য ভূমি পেরিয়ে তিস্তা ঢুকে পড়েছে সমতলে৷ জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এই নদীর জল৷ ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। এবার জানা গেল, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তরবঙ্গের গাজোলডোবা সহ একাধিক এলাকা পরিদর্শন করবেন। 

বুধবার সাত সকালে সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। বহু সাধারণ মানুষ সহ ২৩ জন সেনা আপাতত নিখোঁজ। তিস্তার বিপুল পরিমাণ জলরাশি ধেয়ে আসছে উত্তরবঙ্গের দিকে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জলপাইগুড়ি জেলা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিকিম নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই অবস্থায় তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুমের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ১৮টি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর সহ তথ্য জানানো হয়েছে। এও জানা গিয়েছে, আপাতত ৪টি ব্লকে ১৭টি ক্যাম্প রয়েছে, যাতে ৩ হাজার ২৮৮ জন আছেন। 

লাগাতার বৃষ্টি এবং ডিভিসির বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার কারণ এমনিতেই বাংলার সাত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে সিকিমের এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও জটিল এবং ভয়ানক করে তুলেছে। শেষ দুদিনে ডিভিসি ২ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে, এদিকে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮ হাজার ২৫২.৪০ কিউসেক। ফলে ছোট-বড় নদীগুলিতে আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা।