বনগাঁ: কাজে বহাল রাখার দাবিতে হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করলেন ঠিকা কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়৷ বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে একটি সংস্থার মাধ্যমে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে তাদের প্রায় ৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সোমবার তাদের হঠাৎ জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের আর কাজে আসতে হবে না।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাদের দুমাস হল নিয়োগ করা হয়েছে। করোনাকালে অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। বেতন পাননি অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ তাদের কাজে পুনর্বহাল না করবে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷ ঠিকা শ্রমিকদের অভিযোগ, ‘‘এভাবে আমাদেরকে পথে বসানোর অর্থ কি? আমরা কি নমা খেয়ে মারা যাব? নাকি আত্মহত্যা করব?’’
বনগাঁ হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘বনগাঁ হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল হওয়ার পর একটি সংস্থার মাধ্যমে ওদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এখন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল নন কোভিড হয়েছে। সে কারণে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ছেলেরা আমার কাছে এসেছিল। আন্দোলনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তবে আমার হাতে কিছুই নেই৷’’ যদিও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিকল্প চাকরির ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত ছাঁটাই করা চলবে না৷ নতুবা তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন৷