কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল তাতে শেষ পর্যন্ত কমিটির সুপারিশকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিগত কয়েকদিন ধরেই পাঁচিল নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে চলছে বিরোধ।
আসলে, পৌষমেলার মাঠ পাঁচিলে ঘেরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের সূত্রপাত হয়। সেই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে কমিটি গঠিত হয়। তবে প্রথমে কমিটির নির্দেশ ছিল না এই ব্যাপারে, তবুও পাঁচিল উঠছিল। সেই নিয়ে আরও বিতরকেজ সৃষ্টি হয়। তবে অবশেষে সেই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হয়েই রায় দিয়েছিল। এদিন সেই কমিটির সুপারিশকেই মান্যতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজকের নির্দেশে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বিশ্বভারতী নিজের এলাকার মধ্যে প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণ কাজ চালাতে পারবে। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। এই রায়ের আগে শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে রতনকুঠির পিছনের রাস্তায় পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি মালপত্রও বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পাঁচিল নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধা এবং অসুবিধাকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ ছিল, সরু রাস্তার ওপর বাড়ির সামনে হঠাৎ পাঁচিল নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় তাদের প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এইভাবে চলার পথে হঠাৎ পাঁচিল তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। যে রাস্তায় পাঁচিল তোলা হচ্ছে সেই রাস্তা বহু আগে থেকে সবাই যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে। এই ইস্যুতেই জেলা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের গঠিত কমিটির নির্দেশ ছাড়া কোনও নতুন নির্মাণ করা যাবে না। সেই প্রেক্ষিতে আজ কলকাতা হাইকোর্ট কমিটির সুপারিশকেই মান্যতা দিয়ে দিয়েছে। এখন দেখার এই বিষয়ের জল আরো কোথাও গড়ায় কিনা।